ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ–সংক্রান্ত ডজনখানেক মামলা তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্লট বরাদ্দ থেকে সেতুর টোল, সূচনা ফাউন্ডেশন ও সিআরআই–এর অনুদান লেনদেন—বিভিন্ন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ উঠেছে।
দুদক সূত্র জানায়, শুধু শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেই ১৫টির বেশি মামলা বিচারাধীন। রাজধানীর পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ–সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে থাকায় দ্রুত রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
টোল, অনুদান ও সম্পদের অভিযোগ: মেঘনা–গোমতী সেতুর টোল আদায়ে অনিয়ম করে ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে।শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ৯৩১ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের মামলা করেছে দুদক। একই ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগেও আরেকটি মামলা হয়েছে। সিআরআই–এর অনুদানের নামে ৪৩৯ কোটি টাকার লেনদেন এবং ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়, পুতুল, রাদওয়ান সিদ্দিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অন্যান্য মামলা: যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গুলশানে ‘অবৈধভাবে’ প্লট হস্তান্তরের সুবিধা করে দিয়ে ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে মামলা। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আনুমানিক ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত মামলা।
তারিক সিদ্দিক ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি টাকার সম্পদ ও অর্থপাচার–সংক্রান্ত চারটি মামলা। দুদক বলছে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি নয়, আইন অনুযায়ী তফসিলভুক্ত সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই বর্তমানে বিচারাধীন।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!