চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ–হীরা সংগ্রহ ও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ মঙ্গলবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অনুসন্ধান কী বলছে সিআইডি জানায়, ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক নথি, ব্যাংক হিসাব ও আমদানি–রপ্তানি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান শুরু হয়। তদন্তে দেখা যায়, স্থানীয় বাজার থেকে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এসব পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে বলে সিআইডির প্রাথমিক ধারণা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকার মানিলন্ডারিং মামলা রুজু করে সিআইডি। বৈধ আমদানি বনাম চোরাচালানের সন্দেহ অনুসন্ধান অনুযায়ী, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এলসির মাধ্যমে বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার স্বর্ণবার, অলংকার ও লুজ ডায়মন্ড।
একই সময়ে স্থানীয়ভাবে কেনা বা বিনিময় পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৭৮ কোটি টাকার বেশি স্বর্ণ ও হীরা, যার উৎসের বৈধ নথি প্রতিষ্ঠানটি দেখাতে পারেনি। অতিরিক্ত আইজিপির অনুমোদন মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা মেলায় সিআইডি ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে ১৬ নভেম্বর মামলার অনুমোদন দেন অতিরিক্ত আইজিপি। জসীম উদ্দিন খান জানান, স্বর্ণ–হীরা ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ পাচার ও চোরাচালানের সঙ্গে দিলীপ আগরওয়ালার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। মামলা সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্তও তারাই করবে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র, ব্যাংক লেনদেন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!