সারাদেশ

কুড়িগ্রাম-৩  আসনে গণসংযোগে ব্যস্ত  জামায়াতের এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার সালেহী

আপডেট: নভে ১২, ২০২৫ : ০৮:৫৯ এএম
কুড়িগ্রাম-৩  আসনে গণসংযোগে ব্যস্ত  জামায়াতের এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার সালেহী

কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় নির্বাচনী  গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন । তিনি প্রতিদিন কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সংসদীয় আসনে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে পাড়া মহল্লা ঘুরে তার একগুচ্ছ উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি সাধারণ ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন । তাকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে ।
ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অভিবাসন বিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার আইনজীবী ও সমাজসেবক। তিনি কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফরেন অ্যাফেয়ার্স টিম (ইউরোপ) এর মেম্বার হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করে চলেছেন অবিরত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করে যুক্তরাজ্যের লিঙ্কনস ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল এবং ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করেছেন।

তিনি উলিপুর উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সহ অসংখ্য সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী মনে করেন স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সেই অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। ২৪শের ৩৬ জুলাই গণবিপ্লবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্জিত অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী ফিরে এসেছেন তাঁর জন্মভূমি উলিপুরে। তিনি এসেছেন উলিপুরের প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, একটি নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাতে। উলিপুর উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি একটি দারিদ্র্যমুক্ত, শিক্ষিত, দক্ষ, স্বাস্থ্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর ‘সমৃদ্ধ উলিপুর’ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন। ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী তার রাজনীতি ও নেতৃত্বের মূলভিত্তি হচ্ছে ন্যায়, স্বাধীনতা, জবাবদিহি ও জনকল্যাণ। তিনি বিশ্বাস করেন, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য—শোষণ বা দমন করার জন্য নয়। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা গড়ে উঠেছে ইসলামী ন্যায়বিচার, গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ এবং মানবাধিকারের মেলবন্ধনে। তাই তো জুলাই গণবিপ্লবের সময়, তিনি প্রবাসে অবস্থান করেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠিত করেন এবং সরাসরি ও ভার্চুয়াল উভয় মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।

রেমিট্যান্স বয়কটের পরিকল্পনা, প্রচার এবং বাস্তবায়নে তাঁর ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার পার্লামেন্টে আয়োজিত "স্টুডেন্ট মুভমেন্ট ফর ইকুইটি অ্যান্ড জাস্টিস"-এ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, তিনি নিয়মিতভাবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।তার রাজনৈতিক দর্শনে জনগণই রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক—রাজনীতি হবে মানুষের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করলেই একটি সমাজে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অবহেলা দূর করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকার কারণে তিনি বুঝতে পেরেছেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা একসাথে কাজ করলে একটি এলাকা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। তাই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য শুধু স্থানীয় উন্নয়ন নয়, বরং উলিপুরকে জাতীয় উন্নয়নের স্রোতে যুক্ত করা। তিনি বিশ্বাস করেন -যেখানে মানুষ ন্যায় ও উন্নয়নের পক্ষে পাশে থাকবে, সেখানে উন্নয়ন অনিবার্য। মানুষের সেবা, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমৃদ্ধ সমাজ গড়াই তার রাজনীতির মূল আদর্শ।
সমৃদ্ধ উলিপুর গড়াই ব্যারিস্টার সালেহীর ভিশন!
“সবার জন্য শিক্ষা, কাজ, বাসস্থান ও স্বাস্থ্য — একটি মানবিক, আধুনিক, এবং আত্মনির্ভর উলিপুর গড়ে তোলাই আমাদের স্বপ্ন।
উলিপুরকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত এবং আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা, যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার হবে সমাজের মূল ভিত্তি। উলিপুরকে নিম্নলিখিত লক্ষ্যগুলোর মাধ্যমে দেশের অন্যতম মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ব্যারিস্টার সালেহীর কিছু প্রতিশ্রুতি  ১। ফাইভ জিরো প্রকল্পের উলিপুর (নিরক্ষরতা, কর্মহীনতা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য, গৃহহীনতা, ও চিকিৎসাহীনতা মুক্ত উলিপুর) ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী উলিপুরকে একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও মানবিক জনপদে রূপান্তরের জন্য সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তাঁর স্বপ্ন—পাঁচটি বড় সমস্যামুক্ত উলিপুর গড়ে তোলা, যেখানে থাকবে না নিরক্ষরতা, কর্মহীনতা, ক্ষুধা-দারিদ্র্য, গৃহহীনতা ও চিকিৎসাহীনতা। ২। শিক্ষিত ও দক্ষ উলিপুর মানসম্মত শিক্ষা ও ১০০% সাক্ষরতা অর্জনই উন্নয়নের প্রথম ধাপ। এজন্য ‘ওয়ান-ফর-অল’ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন দক্ষ ও কর্মক্ষম সদস্য তৈরির লক্ষ্য নিয়েছেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষা, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সুবিধাসম্পন্ন স্মার্ট স্কুল, ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গ্লোবাল ট্যালেন্ট প্রোগ্রাম, এবং খেলাধুলা, ডিজাইন, স্থাপত্য, আইটি ও ইসলামিক স্কলার তৈরির উদ্যোগ তাঁর পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত।

৩. কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ উলিপুর। কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ উলিপুর গড়ে তুলতে তিনি এসইই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন, যা প্রতিটি পরিবারে কমপক্ষে একজনের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিপ্লব, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে পুঁজি, প্রশিক্ষণ ও বাজার সংযোগ, স্থানীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিং, নারী পরিচালিত কুটির শিল্প উন্নয়ন, পরিকল্পিত মাছচাষ, নদীকেন্দ্রিক জীবিকা, শিল্প পার্ক স্থাপন এবং দেশি-বিদেশি চাকরি ও উদ্যোক্তা তথ্যের জন্য ক্যারিয়ার হাব গঠন—এসবই তাঁর কর্মপরিকল্পনার অংশ। ৪. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসনে তিনি স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ, আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র, নদীভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প, নদী ড্রেজিং, জলবায়ু সহনশীল কৃষি, বৃক্ষরোপণ এবং ত্রাণ, চিকিৎসা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ৫. আধুনিক সংযোগ ও পর্যটন।
আধুনিক সংযোগ ও পর্যটনে তিনি উন্নত সড়ক, সেতু, বাঁধ, বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি, বাজার ও হাট আধুনিকায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং উলিপুরকে বাংলাদেশের নতুন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। ৭. স্মার্ট কৃষি ও সমৃদ্ধ বাজার। স্মার্ট কৃষি ও বাজার উন্নয়নে স্মার্ট প্রযুক্তি, উন্নত বীজ, কৃষি ক্লিনিক, নদী ও খাল পুনঃখনন, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষকের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৮. স্বনির্ভর চর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। চরাঞ্চল উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, রোড ও নৌপথ সংযোগ, ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ইউনিট, বালি ও খনিজভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা, ফাইভ জিরো ও এসইই প্রকল্প, চরভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কৃষিভিত্তিক বিকল্প উন্নয়ন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন। ৯. সুশাসন, উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষা। সুশাসন, উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন, গণশুনানি, দুর্নীতিবিরোধী কমিটি, নারী-সংখ্যালঘু- প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত এলাকা, জিরো ক্রাইম কমিউনিটি, দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল স্থানীয় সরকার, বিনিয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং সরকারি সেবার মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী বলেন ,"আমি বিশ্বাস করি, যেখানে মানুষ ন্যায় ও উন্নয়নের পাশে থাকবে, সেখানে সমৃদ্ধি অনিবার্য। উলিপুরের মাটি ও মানুষের টানে ফিরেছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেছি, তা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে উলিপুর থেকে দারিদ্র্য ও অবহেলার গ্লানি মুছে ফেলে সবার জন্য শিক্ষা, যোগাযোগ, উন্নত কৃষি ও বিনিয়োগ, নদীভাঙ্গন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারে সমৃদ্ধ একটি আধুনিক উলিপুর গড়ে তুলবো – এটাই আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অঙ্গীকার।"।

 

আরএস

Tags:
জামায়াত ইসলামী

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!