সারাদেশ

শ্রীপুরে মসজিদে যাওয়ার পথে জামায়াত নেতা কুপিয়ে আহত, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

আপডেট: নভে ১১, ২০২৫ : ০১:৩২ পিএম
শ্রীপুরে মসজিদে যাওয়ার পথে জামায়াত নেতা কুপিয়ে আহত, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ভিটিপাড়া মসজিদের ইমাম ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রহলাদপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সভাপতি মো. জুবায়ের আহমেদ বাচ্চু (৪২) নামের এক স্থানীয় ধর্মীয় নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার ভোরে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ভোরে নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন জুবায়ের আহমেদ। পথে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, আহত জুবায়ের আহমেদ ভিটিপাড়া মসজিদের ইমাম হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্থানীয়ভাবে একজন নির্লোভ ও জনপ্রিয় আলেম হিসেবেও পরিচিত।

ঘটনার পরপরই জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর ও জেলা নেতারা পৃথক বিবৃতি দিয়ে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন এবং জেলা আমীর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, একজন সুপরিচিত আলেম ও দায়িত্বশীল রাজনৈতিক কর্মীর ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা বর্বরতার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য যারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের মনে রাখা উচিত— হামলা বা ভয় দেখিয়ে জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করা যাবে না। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আবদুল বারিক বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। তদন্ত চলছে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছেন, হামলার পেছনে স্থানীয় বিরোধ বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।

আহত জুবায়ের আহমেদের স্বজনরা জানিয়েছেন, হামলার সময় আশপাশে কেউ ছিল না। কিছুক্ষণ পর মসজিদের মুসল্লিরা তাঁর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকারে প্রতিবেশীদের ডাকেন। পরে সবাই মিলে তাঁকে উদ্ধার করেন।


আরএস

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!