ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে যদি কেউ ভুলবশত আজান দেয়, তবে তা শুদ্ধ হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াক্ত হওয়ার পর পুনরায় আজান দিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওয়াক্তের আগে আজান দিলে কেউ ফরজ নামাজও আগেভাগে পড়ে ফেলতে পারে। রমজানে বিশেষভাবে মাগরিবের সময়ের আগে আজান দিলে রোজার জন্য বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তাই আজান দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাত মুয়াক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ, কোনো মহল্লার মসজিদে যদি আজান না হয়, কেউ দিলে অপররা গুনাহ থেকে মুক্ত থাকে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।
আজান দেওয়ার মাধ্যমে মুয়াজ্জিনকে আল্লাহর বিশেষ মর্যাদা প্রদান করা হয়। বিভিন্ন হাদিসে আজানের ফজিলত বর্ণিত আছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, মুয়াজ্জিনের আজান শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন, এবং সজীব-নির্জীব সব কিছু তার সাক্ষ্য দেবে।
এক অন্য হাদিসে বলা হয়, যখন কেউ দূরে যেমন মরুভূমি বা চরানোস্থলে থাকাকালীন নামাজের জন্য আজান দেয়, তখন উচ্চস্বরে আজান দেওয়ার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত, যাতে যতদূর মানুষ, জিন ও অন্যান্য বস্তু শুনতে পায়।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!