সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রী তাওফিক আল-রাবিয়াহ জানিয়েছেন, আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী হজ মৌসুমের জন্য এক মিলিয়নেরও (১০ লাখ) বেশি হাজির চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই চুক্তি হজের ছয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীর সমাপনী দিনে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এটি এক ঐতিহাসিক অর্জন এবং নজিরবিহীন সাফল্য। আল-রাবিয়াহ জানান, সৌদি সরকার এ বছর ৭৭টি দেশের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে হজ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাশাপাশি ২০২৬ সালের হজ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বেসরকারি খাতও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজ অপারেটরদের সঙ্গে তিন হাজারের বেশি চুক্তি করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, চার দিনব্যাপী হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী অংশ নেন। যা গত বছরের তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। এতে ১৫০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এই বাড়তি অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে বিশ্ব সম্প্রদায় কতটা স্বীকৃতি দিচ্ছে মন্তব্য করেন তিনি। আল-রাবিয়াহ বলেন, হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও সেবার বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্সের নিরলস মনোযোগ ও সহায়তাই আমাদের এই সাফল্যের মূল প্রেরণা। তার নেতৃত্বেই সৌদি আরব ধারাবাহিকভাবে হজযাত্রীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করছে।
মন্ত্রী জানান, এ বছরের প্রদর্শনীতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যারা হজযাত্রীদের জন্য নিজেদের সেবা তুলে ধরে। উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল কিং আবদুল আজিজ ফাউন্ডেশন ফর রিসার্চ অ্যান্ড আর্কাইভস (দারাহ)। মন্ত্রী বলেন, হজের ইতিহাস সংরক্ষণ ও ইসলামী ঐতিহ্য তুলে ধরায় ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সম্মেলনের সফল আয়োজনে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আল-রাবিয়াহ বলেন, এটি সব দিক থেকেই এক অসাধারণ অর্জন। তিনি আরও ঘোষণা দেন, আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মদিনায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ওমরা ও ভিজিট ফোরাম’। এটি হজযাত্রী ও দর্শনার্থীদের সেবায় সৌদি সরকারের ধারাবাহিক উদ্যোগেরই অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এই বছরের হজ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল, দেশ থেকে প্রস্থান থেকে শুরু করে মক্কা-মদিনায় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ঘরে ফেরার পুরো পথেই যেন প্রত্যেক হাজির যাত্রা নিরাপদ, সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন হয়।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!