টানা দুই বছর কমে যাওয়ার পর হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি পুনরায় বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রপ্তানিকারকদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিশ্ববাজারে বাগদা চিংড়ির চাহিদা কমে গিয়েছিল। তবে গত বছর থেকে বাগদার চাহিদা ও রপ্তানি পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১২ কোটি ডলারের হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে চীন শীর্ষ গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে—রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি ৫ কোটি ডলারের নিচে, যুক্তরাজ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, বেলজিয়ামে ৪ কোটি ডলার, জার্মানিতে ২ কোটি ৯৬ লাখ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির নগদ সহায়তার জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজীকরণের সময় বরফসহ মোট পরিমাণ থেকে মাছের ওজন বাদ দিয়ে সরকারি নির্ধারিত পরিমাণ হিসাব করা যাবে। এছাড়া রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অথবা বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে হবে এবং মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হতে হবে।
রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, এ সহায়তা ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে হিমায়িত চিংড়ির রপ্তানি আরও শক্তিশালী ধারায় এগিয়ে যাবে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!