দেশের বৃহত্তম গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পিএলসি চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয় বাড়ালেও বড় অঙ্কের লোকসানে পড়েছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এ সময় কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট লোকসান হয়েছে ২৪৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এর মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে তিতাস গ্যাসের আয় হয়েছে ৯ হাজার ৬৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮ হাজার ২৬৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ১ হাজার ৩৮৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

তবে আয়ের এই প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও উৎপাদন ব্যয়ের চাপে কোম্পানিটি লোকসানে পড়েছে। আলোচ্য সময়ে গ্যাস উত্তোলন ও সঞ্চালন বাবদ খরচ হয়েছে ৯ হাজার ৮২৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা, যা মোট আয়ের চেয়ে ১৭০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি।

ফলে প্রথম প্রান্তিকে তিতাস গ্যাসের নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৪৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৮৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ লোকসান বেড়েছে ৬০ কোটি ৬১ লাখ টাকা বা ৩২ দশমিক ১৩ শতাংশ।

তিতাস গ্যাস গত কয়েক বছর ধরেই লোকসানে রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট লোকসান হয়েছিল ১৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা, আর সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নিট লোকসান দাঁড়ায় ৭৭২ কোটি ৪ লাখ টাকা।

বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ মূল্য সমন্বয়ের ঘাটতি তিতাসের আর্থিক ভারসাম্যে বড় চাপ তৈরি করেছে।

আরএস