বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ‘চিকেনস নেক’ হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি করিডোর ঘিরে ভারতের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হয়েছে। আসাম ও উত্তর দিনাজপুরে দুটি নতুন সেনা ঘাঁটি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ভারত।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, শিলিগুড়ি করিডোর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য সংযুক্ত করার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা। এখানে চীনের কৌশলগত প্রভাব মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করাই ভারতের প্রধান লক্ষ্য। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি লালমনিরহাট সীমান্তের ৬২ কিলোমিটার ভারতের দখলে চলে যাওয়ার গুজব ছড়ানো হয়েছে। লালমনিরহাট বিজিবি ব্যাটালিয়ন ১৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বিষয়টি খণ্ডন করে বলেছেন, “এটা সম্পূর্ণ গুজব। সীমান্তের প্রত্যেক ব্যক্তি নিরাপদে অবস্থান করছে এবং বিজিবি টহল চালাচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে যৌথ টহল নিয়মিত চলছে।”
সীমান্তের স্থানীয়রা জানান, বিএসএফের টহল বৃদ্ধি ও সতর্কতা দেখা গেলেও জমি দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে সীমান্তের কাছে যাতায়াতের সময় বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ভারতের অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল দীপঙ্কর ব্যানার্জী বলছেন, শিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই ঘাঁটিগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং চীনের কৌশলগত প্রভাবও ভারতের সামরিক পদক্ষেপে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশের সাবেক মেজর জেনারেল মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, ভারতের পদক্ষেপকে সরাসরি বাংলাদেশে আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা যায় না। তবে এটি একটি ‘গ্রে জোন ব্যাটল’—অর্থাৎ সীমান্তে প্রভাব বিস্তার এবং সতর্কবার্তা দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া। বাংলাদেশকে অবশ্যই সামরিক কূটনীতির মাধ্যমে সতর্কভাবে করতে হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর ঘিরে সামরিক তৎপরতা মূলত সীমান্ত সুরক্ষা, চীনকে মোকাবিলা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!