ক্যান্সার এমন এক প্রাণঘাতী রোগ, যার নাম শুনলেই ভয় জাগে মনে। তবে কিছু সাধারণ ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই শরীর হতে পারে আরও সুরক্ষিত ও রোগপ্রতিরোধে সক্ষম। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু অভ্যাস, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে—
১. ভিটামিন ডি গ্রহণ
দিনের শুরুতে জানালা খুলে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করতে দিন। সূর্যের আলো আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। রোদে না যেতে পারলে চর্বিযুক্ত মাছ, ডিম বা মানসম্মত ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এটি শরীরের ভেতরে এক ধরনের প্রাকৃতিক সুরক্ষা বলয় তৈরি করে।
২. রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন
মাঝেমধ্যে উপবাস বা রোজা রাখলে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো পরিষ্কার হয় এবং নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়া (অটোফ্যাজি) সক্রিয় হয়। এতে শরীর ভেতর থেকে সুস্থ হয় এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রোজা রাখলে শরীরের মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তিশালী হয়—যেখানে অনেক সময় ক্যান্সারের সূচনা ঘটে।
৩. কার্বযুক্ত খাবার কমান
অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ায়, যা ক্যান্সার কোষের খাদ্য হিসেবে কাজ করে। তাই কার্বযুক্ত খাবার কমিয়ে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি নির্ভর খাদ্যাভ্যাস (যেমন কিটো ডায়েট) অনুসরণ করলে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য রক্ষা করে ও শক্তির স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
৪. ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন
ঠান্ডা পানিতে গোসল শরীরে হালকা চাপ সৃষ্টি করে, যা কোষগুলোকে আরও শক্তিশালী ও স্থিতিস্থাপক করে তোলে। এই অভ্যাস শরীরের মাইটোকন্ড্রিয়াকে সক্রিয় করে এবং কোষের গঠনকে সুসংহত রাখে, ফলে কোষে মিউটেশন বা রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৫. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট হলেও ব্যায়াম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা সাইকেল চালানো—যেকোনো শারীরিক কার্যক্রম রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে এবং টিউমার বৃদ্ধির জন্য প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!