লীড নিউজ

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট: নভে ১৭, ২০২৫ : ১০:২৬ এএম
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১।

আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলার অভিযোগ ও পক্ষগুলোর যুক্তি: বহুল আলোচিত এই মামলায় পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে, আসামিদের নির্দোষ উল্লেখ করে খালাস চান তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী।

রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষ থেকেও তাঁর আইনজীবী খালাসের আবেদন করেন। শুনানিতে কারা ছিলেন প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস. এইচ. তামিম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও কয়েকজন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

সাক্ষ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণ–অভ্যুত্থানের প্রথম নিহত ব্যক্তি আবু সাঈদের পিতা ও অন্যান্য স্বজন–হারানো পরিবার।
স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্ব নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। মোট ৫৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১।

পরবর্তী সময়ে দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে সহযোগিতা করতে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

পটভূমি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে গণ–অভ্যুত্থান দমনে তৎকালীন সরকার, দলীয় ক্যাডার ও প্রশাসনের একটি অংশ পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংঘটিত করেছে—এমন অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একের পর এক আবেদন জমা পড়ে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অভিযোগের বিচার চলছে।


আরএস

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!