জাতীয়

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব

আপডেট: নভে ১৬, ২০২৫ : ০৬:১৮ এএম
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব

চব্বিশের জুলাই গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ঘোষণা হবে আগামীকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর)। এই রায় সরাসরি দেখবে গোটা বিশ্ব। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় বিচারকাজ দেখানো হবে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের রায় শোনার জন্য গোটা জাতি অপেক্ষায়। বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ। তাই রায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বড় পর্দা বসাবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে বিচারকাজ দেখতে পারেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করেছে। গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম ও ফারুক আহাম্মদ। ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হেভিওয়েট নেতাদের বিচার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন এবং শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। এরপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন যুক্তি উপস্থাপন করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন তার বিষয়ে রায়ের সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। তার আইনজীবী অ্যাকুইটাল (খালাস) চেয়েছেন।

শেখ হাসিনার মামলায় ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ চলতি বছরের ৩ আগস্ট থেকে শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে খোকন চন্দ্র বর্মণ ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের বীভৎসতার চিত্র তুলে ধরেন। ৮ অক্টোবর মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এরপর প্রসিকিউশন ও ডিফেন্স আইনজীবীর যুক্তি ২৩ অক্টোবর উপস্থাপন করা হয়। মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের নথি মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪,০০৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। ১৭ নভেম্বর রায়ের মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার প্রথম কোনো রায় শুনবে জাতি।


আরএস

Tags:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!