প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার উন্মোচন করলেন ২য় নারী কাবাডি বিশ্বকাপ–২০২৫-এর অফিসিয়াল ট্রফি। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো নারী কাবাডি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির চূড়ান্ত ধাপ। প্রেস উইং জানায়, ট্রফি উন্মোচন শুধু টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারী ক্রীড়াবিদদের সক্ষমতা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের উদীয়মান নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আয়োজন করছে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ। ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ। বিশ্বব্যাপী ক্রীড়ানুরাগীদের নজর কাড়বে আট দিনের এই প্রতিযোগিতা, যেখানে খেলাধুলার পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়ের সুযোগও তৈরি হবে। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্বমানের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সব দেশ থেকে আগত দলগুলোর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে আয়োজক, ক্রীড়াবিদ, কর্মকর্তা ও সহযোগীদের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন জানিয়েছে, সরবরাহ, নিরাপত্তা, দলগুলোর আবাসন ও দর্শকদের অংশগ্রহণ—সব প্রস্তুতিই এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামীকাল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
এবারের নারী কাবাডি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ১১টি দেশ—বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, থাইল্যান্ড, জার্মানি, পোল্যান্ড, উগান্ডা, চীনা তাইপে, কেনিয়া এবং জাঞ্জিবার।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, নারী ক্রীড়াবিদদের উৎসাহিত করতে সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি নারীরা ধারাবাহিকভাবে তাদের সাফল্য প্রমাণ করছে, যা দেশের গর্ব বাড়াচ্ছে এবং নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে।
২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। দেশের মাটিতে আয়োজন হওয়া এই বিশ্বকাপকে ঘিরে ক্রীড়ামহলে ইতিমধ্যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!