জাতীয়

মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট: নভে ১৭, ২০২৫ : ০৪:৫৮ এএম
মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭6 সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া মওলানা ভাসানী কৈশোর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৎকালীন বাংলা–আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। লাইনপ্রথা উচ্ছেদ, জমিদারি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামসহ কৃষক–মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সক্রিয় ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলে তাঁর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন স্বাধীনতার পথে বাঙালির সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে আছে।

নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও সাদাসিধে জীবনযাপনের জন্য পরিচিত মওলানা ভাসানী জীবনভর ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির বাইরে থেকে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সেখানে সাত দিনব্যাপী ‘ভাসানী মেলা’ও চলছে।

এ উপলক্ষে রবিবার এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, মওলানা ভাসানী উপমহাদেশের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে আপসহীন নেতা ছিলেন। তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তারেক রহমান আরও বলেন, জাতির দুর্দিনে জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণেই মওলানা ভাসানী মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলেন। তাঁর দেশপ্রেম ও সাহসিকতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

বিএনপির ঘোষিত জাতীয় কমিটির উদ্যোগে দুদিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সন্তোষে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণসংহতি আন্দোলন ‘মওলানা ভাসানী ও গণ-অভ্যুত্থানের রাজনীতি: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।


আরএস

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!