বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, আনসার ব্যাটালিয়ন, অঙ্গীভূত আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও জনকল্যাণে একে অপরের পরিপূরক শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আনসার ক্যাম্পে আয়োজিত এক দরবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ ও জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান। এই ঐতিহ্যবাহী বাহিনীর সদস্য হিসেবে ন্যায়, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনই একজন আনসার সদস্যের সর্বোচ্চ গৌরব।”

তিনি আরও জানান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আনসার সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠানের বৈধতা যাচাইয়ের পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যদের শতভাগ দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। মহাপরিচালক বলেন, প্রশাসনিক সংস্কার, স্বচ্ছতা ও অনুকূল কর্মপরিবেশ গড়ে তুলতে বাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্নীতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কার্যকর করা হয়েছে।

সদস্য কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আনসার-ভিডিপি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আওতায় মহানগর এলাকায় বাস সার্ভিস চালু, নিজস্ব রেশন স্টোর নির্মাণ, রেশন পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও প্যাকেটজাত রেশন বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া সদস্যদের জন্য ‘সুখী স্বাস্থ্যসেবা’ অ্যাপ, ল্যাবএইড ও গ্রামীণ কল্যাণের সঙ্গে স্বাস্থ্যচুক্তি, অবসরকালীন পেনশন স্কিম, ‘সঞ্জীবন’ ও ‘প্রান্তিক শক্তি’ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সদস্য কল্যাণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বাহিনীর সদস্যদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে বাহিনীর গৌরবময় ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, পরিচালক (ঢাকা মহানগর আনসার) মো. আসাদুজ্জামান গনী, ঢাকাস্থ জোন কমান্ডারবৃন্দসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকগণ।

দরবারে ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি অঞ্চলের অধীনে কর্মরত প্রায় ২ হাজার ৪শ’ পুরুষ ও মহিলা আনসার সদস্য অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে সদস্যদের দায়িত্ববোধ, পেশাগত শৃঙ্খলা, সমস্যা ও কল্যাণমূলক অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়।

আরএস