বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিভিওএ) এবং কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (কোয়াব) নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ ও পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে।
আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহবুব কবির।
লিখিত বক্তব্যে মেহবুব কবির বলেন, “আমরা পণ্য পরিবহন নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালে নৌপথে পণ্য পরিবহন করছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কয়েকটি পণ্যের এজেন্ট সিন্ডিকেট সিরিয়ালবিহীন পণ্য পরিবহন করছে। নীতিমালা অনুযায়ী আমরা ২-৩ মাসে একটি ট্রিপ করি, অথচ সিরিয়ালবিহীন জাহাজ মাসে ৩-৪ ট্রিপ করছে। কিছু ফ্যাক্টরি মালিক নীতিমালা বহির্ভূতভাবে চার্টার জাহাজ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করছে।”
তিনি আরও বলেন, “কিছু পণ্যের এজেন্ট আমাদের জাহাজগুলোকে ভাসমান গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। যেখানে ছোট জাহাজ সর্বোচ্চ ৮ দিনে এবং বড় জাহাজ ১১ দিনে খালি করা উচিত, সেখানে ১০-১১ মাস ভাসমান গোডাউন হিসেবে রাখা হচ্ছে। এভাবে চললে আরো জাহাজ স্ক্রাপ হয়ে যাবে, শ্রমিক বেকার হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আমরা সরকারি নীতিমালার পক্ষে, শুধুমাত্র নীতিমালার বাস্তবায়ন চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত ১০ দফা দাবি হলো:
১. পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. নৌপরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের এজেন্ট সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।
৪. বিডব্লিউটিসিসি পরিচালনা পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিত্তিতে গঠন করতে হবে।
৫. বকেয়া ড্যামারেজের ২১১ কোটি টাকা সহ চলমান সমস্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
৬. পণ্য পরিবহন করে জাহাজ ভাসমান গোডাউন করা বন্ধ করতে হবে।
৭. সমস্ত জাহাজ নৌ নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালভুক্ত হতে হবে।
৮. ফ্যাক্টরি মালিকদের নীতিমালা বহির্ভূত চার্টার জাহাজে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
৯. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের সদস্য ব্যতীত কমার্সিয়াল পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
১০. সমুদ্র বন্দর থেকে বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।
জাহাজ মালিকরা জানান, এই সমস্যাগুলো সমাধান না হলে খাতটি সংকটে পড়বে এবং দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনে বড় ধরনের বাধা তৈরি হবে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!