জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় আজ সোমবার ঘোষণার কারণে রাজধানীর রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে। পথচারীর উপস্থিতিও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম রয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, মগবাজার ও মালিবাগ এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। গাড়ি ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশ তল্লাশি করছে। অধিকাংশ বাস অর্ধেক বা অর্ধেকের কম যাত্রী নিয়ে চলছে। সাধারণত বসে ও দাঁড়িয়ে যাত্রী থাকা দৃশ্য আজ লক্ষ্য করা যায়নি।
শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, “জনমনে এখনও ভীতি আছে। অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। শাহবাগে আগে যেখানেই ভিড় থাকত, আজ সেটা করোনাকালীন লকডাউনের মতো ফাঁকা।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার দিনটি ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকে ঢাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রতি নিরাপত্তার কারণে রাজধানীতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এছাড়া দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তেজগাঁও টার্মিনাল এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা ব্যক্তিকে পুলিশ হাতেনাতে আটক করেছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিশ্চিত করেছে, আজ রাজধানীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে প্রাত্যহিক কার্যক্রম চালাতে পারবে।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!