প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ওই সময়ে আদৌ নির্বাচন হবে কি না— সেই প্রশ্নের মীমাংসা ঝুলে আছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং এর আইনি ভিত্তি প্রদানের প্রশ্নে গণভোটে। বিএনপি ও সমমনা দুয়েকটি দল বাদে জামায়াতসহ বাকি সব দল বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা হোক। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার যেমন বলছেন, গণভোটটা একটা সুবিধাজনক সময়ে করে নিলে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার ব্যাপারে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।
সম্প্রতি রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা পোস্টকে সাক্ষাৎকার দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল। সেখানে তিনি গণভোট, যুগপৎ আন্দোলন, নির্বাচনী জোট এবং আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জসীম উদ্দীন ও আদিত্য রিমন।
প্রশ্ন : গণভোট ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন কি না? আপনাদের মধ্যে কি কোনো শঙ্কা কাজ করছে?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : জুলাই সনদ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে খুব বড় কোনো মতপার্থক্য নেই। জাতীয় একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। পার্থক্য শুধু বাস্তবায়নের পন্থা ও গণভোটে। বাস্তবায়নের পন্থা নিয়ে বিএনপির সাথে জামায়াতের বিশেষ ভিন্নমত নেই। তারা জরুরি অর্ডার জারির পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে করার প্রস্তাব করেছে। আমরা এবং অন্যান্য দল জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদা করে গণভোট দিতে বলেছি।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিনটা সমস্যা আছে। এক, গণভোটের ধরন একরকম আর প্রতীকের ভোট আরেকরকম। একই দিনে হলে গণভোট কাস্টিং কম হবে এবং গুরুত্ব কম পাবে। দুই, জাতিকে আগে জানাতে হবে। ঐকমত্য হওয়া সংস্কার ইস্যুগুলো মানে কি মানে না, ইয়েস অর নো— এটা না জেনে প্রতীকের নির্বাচনে যাব কেন? একই দিন করলে গণভোটের ফলাফল জাতি জানার আগেই তার প্রতীকের ভোট দেয়া হয়ে যাবে। তিন, সহিংসতা হতে পারে অনেক কেন্দ্রে। তখন ভোট বন্ধ হয়ে যাবে। কী কী ঘটলে ভোট বন্ধ করতে পারবে নির্বাচন অফিসার, ভোট বন্ধ হলে কোনটা বন্ধ হবে— গণভোট নাকি মার্কার ভোট? এসব নিয়ে দ্বিধা-সন্দেহ তৈরি হবে। ফলাফল দিতে পারবে না। এত ঝামেলার দরকার নেই। এক মাস আগে গণভোট দিলেই সব চুকে যায়। এটা একটা সুবিধাজনক সময়ে করে নিলে জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার ব্যাপারে আমি আর কোনো অনিশ্চয়তা দেখি না।

প্রশ্ন : বর্তমানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে তো ধর্মীয় রাজনীতির একটা বৈপরীত্য আছে। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করেও কেন গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাজি হচ্ছে জামায়াত?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : ইসলামকে আমরা অনেকে শুধু একটা ধর্ম মনে করি। কিন্তু ইসলাম নট অনলি অ্যা রিলিজিয়ন বাট অ্যা কমপ্লিট অ্যান্ড ব্যালেন্সড কোড অব লাইফ। একটা পরিপূর্ণ, পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হচ্ছে ইসলাম। যেখানে- সমাজ, রাষ্ট্র, দেশ, অর্থনীতি, জুডিশিয়ারি, এডুকেশন, সামাজিকতা, পারিবারিক নীতি, যুদ্ধনীতি, ফরেন পলিসি সবকিছু আছে।
আল্লাহ কোরআন শরীফে বলেছেন, ‘আমি আজ তোমাদের এই বিধানকে পূর্ণ করে দিলাম’। অর্থাৎ অর্থনীতির জন্য কার্ল মার্কসের কাছে যেতে হবে না, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য পশ্চিমা দেশে যেতে হবে না। কোরআন শরীফের দ্বীন শব্দের ব্যাখ্যা করা হয়েছে জীবন বিধান হিসেবে। হিন্দু একটা ধর্ম, খ্রিস্টান একটা ধর্ম, বৌদ্ধ একটা ধর্ম— প্রচলিত এই অর্থে ইসলাম শুধু একটা ধর্ম নয়। ইসলামের ধর্মীয় একটা দিক আছে, সৃষ্টিকর্তার সাথে তার সম্পর্ক; সেজদা করবে, নামাজ পড়বে, রোজা রাখবে, এবাদত করবে— প্রচলিত অর্থে এটা একটা ধর্মীয় দিক। কিন্তু এর একটা রাজনৈতিক দিকও আছে। আল্লাহর নবী রাষ্ট্র শাসন করেছেন। তিনি যেমন একদিকে ধর্মীয় নেতা ছিলেন, আবার তিনি দেশের প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তিনি সৈনিকও ছিলেন, বিচারপতিও ছিলেন। এভাবে জীবন ও রাষ্ট্র— সমস্ত কিছু কীভাবে চলবে সেই বিধানটা আল্লাহ কোরআন মজিদে দিয়েছেন। এটাকেই আমরা ইসলাম বলি। আমরা শুধু নই, এটা সারা দুনিয়ার ইসলামী স্কলার, যারা কোরআন পড়েন, বোঝেন; এটাকে তারা জীবন বিধান হিসেবে মানেন। নট অনলি রিলিজিয়ন, শুধু রিলিজিয়ন বললে ইসলামের পূর্ণ ব্যাখ্যা হয় না।
ইসলাম হচ্ছে একটা কালজয়ী আদর্শ। সব যুগে, সব সভ্যতার জন্য এটা প্রযোজ্য। এখানে গবেষণা আছে, ফিকহ (ইসলামি আইনশাস্ত্র) আছে। ব্যাংকিং সিস্টেম, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমি কীভাবে চলব— ইসলামী অর্থনীতিতে তার সল্যুশন (সমাধান) আছে। সভ্যতা পাল্টায় আর নতুন নতুন সামাজিক সমস্যা তৈরি হয়। তার জন্য আবার আইন সংশোধিত হয়। ইসলামে ফিকহ নামে আইন শাস্ত্র আছে। প্রত্যেক যুগে ফকিহগণ এই সুযোগ রেখেছেন যে সরাসরি আল্লাহ তাআলার বিধানের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না এমন যে কোনো সমস্যা এলে গবেষণার মধ্য দিয়ে সেই যুগের উপযোগী করে শাসন ব্যবস্থা চালু করা যায়। দ্যাট ইজ ইসলাম (এটাই ইসলাম)।

এখন প্রশ্ন হলো, ইসলামের সাথে গণতন্ত্রের সম্পর্ক কোথায়? আমরা বলছি, প্রচলিত আব্রাহাম লিংকনের যে গণতন্ত্র, অব দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল, বাই দ্যা পিপল (জনগণের, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা)। পিপলস বিলং টু দ্য সভরেইনটি (জনগণ সার্বভৌমত্বের অধিকারী)। গণতন্ত্র বলছে— সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস জনগণ, তারা যা বলবে তাই আইন। এটা হচ্ছে গণতন্ত্র। আর আমরা বলছি, না, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহ।
এখন কথা হলো, আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলি তাহলে আমাদের সাথে কি ইসলাম মুখোমুখি? না, আমরা সরকার পরিবর্তনের যে গণতান্ত্রিক বিধান সেটা মানছি, প্রতি পাঁচ বছর পরপর জনমতের কাছে আমরা যাচ্ছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হওয়ার কারণে আমরা এটা মনে করছি যে, আমরা যদি আল্লাহতায়ালার বিধানের কথা এদেরকে বোঝাতে পারি, জনগণ যদি আল্লাহর আইনের যে কল্যাণ, আল্লাহর বিধানের যে সুফল, গুড গভর্নেন্স (সুশাসন) বা ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) পায় তাহলে তারা আমাদের সমর্থন দেবে।
আমরা বলি যে, পশ্চিমা গণতন্ত্রকে আমরা বিশ্বাস করব না। শুধু বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এই বিধানটুকু আমরা মেনে নিচ্ছি যে সরকার পরিবর্তনে একটা ডেমোক্রেটিক সিস্টেম (গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা) কাজ করুক। কোনো হঠকারী পন্থায়, রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে, চরমপন্থা বা এক্সট্রিমিজম করে রাষ্ট্রক্ষমতা বদল করা আমরা পছন্দ করি না। পাঁচ বছর অপেক্ষা করব; জনগণকে বলব, আমি এইভাবে দেশ চালাব, তুমি আমাকে চাইলে ভোট দাও। না দিলে আমি আবার ধৈর্য ধরব। এটা হচ্ছে পার্লামেন্টারি সিস্টেম অব পলিটিক্স বা ডেমোক্রেসি। ইসলাম জনগণের মতামত নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার এই বিধানটাকে সমর্থন করে। এই প্রশ্নে গণতন্ত্রের সাথে ইসলামের কোনো সংঘর্ষ নেই।
প্রশ্ন : অনেকেই নতুন করে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাইছে। কেন চাইছে বলে মনে করেন? এর আগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়েছিল কী কারণে?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : ৭১ ইস্যু, স্বাধীনতাবিরোধী তকমায় কিন্তু আমাদের নিবন্ধন বাতিল হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রকে সাংঘর্ষিক বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস মনে করছি না কেন? আমরা বলেছি যে, ‘সভরেইনিটি বিলংস টু দ্য অলমাইটি আল্লাহ’— এটা আমার গঠনতন্ত্রে আছে। আর আমাদের সংবিধান বলছে, ‘সভরেইনিটি বিলংস টু পিপল’। জনগণ সব ক্ষমতার উৎস বললে তো আমাদের ঈমান থাকবে না।
প্রশ্ন : পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দাবিতে জামায়াতসহ আট রাজনৈতিক দল যুগপৎ কর্মসূচি দিচ্ছে। এরকমও শোনা যাচ্ছে, বিএনপির সঙ্গেও আপনাদের রাজনৈতিক বা আসন সমঝোতা হতে পারে?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : বিএনপির সঙ্গে আমাদের নির্বাচন, নির্বাচনী সমঝোতা ইত্যাদি নিয়ে বাজারে অনেক কথা প্রচার আছে। এটা ওই প্রচারের মধ্যেই আছে। আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো খবর নেই। আমরা বিষয়টি অবহিত নই। কোনো আলোচনাই নির্বাচনকেন্দ্রিক, আসনকেন্দ্রিক, সমঝোতাকেন্দ্রিক হয়নি।
এমনি দেখা হলে রাজনৈতিক সৌজন্য সব দলের সাথেই আছে। কালকেও দেখা হলো, কথা বলেছি। উনারাও কথা বলেন, অসুস্থ হলে খবর নেন, দেখতে আসেন, আমরা ফোন করি। এটা পলিটিক্যাল কার্টেসি, সুসম্পর্ক। শুধু বিএনপি না, এ ধরনের সম্পর্ক আমাদের সাথে সব দলেরই আছে। কিন্তু আসন বা সিট ভাগাভাগি, সিট সমঝোতা, নির্বাচনের ঐক্য সংক্রান্ত কোনো আলোচনা এখনো হয়নি।
আরেকটা রাজনৈতিক বাস্তবতা হচ্ছে— এখন রাজনীতিতে যে পোলারাইজেশন (মেরুকরণ), বিশেষ করে বিএনপি আর জামায়াত— দুইটা দলই এখন বড় দল। সানেম (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) ও ব্র্যাক জরিপ করেছে। প্রত্যেকটা জরিপে কিন্তু তারা থার্ড একটা অথরিটি হিসেবে জরিপ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জামায়াতের অনুকূলে জনমত ক্রমশ বাড়ছে। জরিপে বিএনপির জনমতের কাছাকাছি জামায়াতও আছে। কখনো একেবারে কাছাকাছি, কখনো দুই-এক পয়েন্ট কম-বেশি, কখনো পাঁচ পয়েন্ট কম-বেশি। এখনও কয়েক মাস সময় আছে। এখন জামায়াতের জনমত বাড়ারও কারণ আছে, বিএনপির কমারও কারণ আছে। আমাদের কমার কোনো কারণ নেই আল্লাহর রহমতে। যদি আল্লাহ আমাদের কোনো মুসিবতের মধ্যে না ফেলেন।
আমাদের জনমত বৃদ্ধির কারণে সারা দুনিয়ার কূটনীতিকরা, আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার রাষ্ট্রদূতরা জামায়াতকে জানবার, বুঝবার, আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এক মাসে প্রায় ৪০টা দেশের রাষ্ট্রদূত দেখা করেছেন। এটার কারণ কী? অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি জামায়াতের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা এসে যাচ্ছে? দেশের মানুষের একটা পারসেপশন এমন যে, জামায়াতের জনপ্রিয়তা বা জনমত যথেষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানা কারণে সবাই জামায়াতকে বড় দল মনে করছে। তবে আমরা এখনো এটি মনে করি না।
জনগণ আমাদের বড় মনে করছে। সেই কারণে আমরা তো মনে করি, জনগণ যদি ভালোবাসে আমাদের, আর আল্লাহ যদি রহমত করে, দায়িত্ব তো আমাদের উপরে এসেও যেতে পারে।
বিএনপিও ভাবতে পারে আমরা দেশ শাসন করেছি, ফলে আমাদের অত বেশি প্রচার করা লাগবে না। নানা কারণে উভয় দলকেই মানুষ মনে করছে সম্ভাবনা আছে। এজন্য রাজনীতির এই বিদ্যমান সমীকরণে বিএনপির সাথে আমাদের জোট হওয়ার আপাতত কোনো সম্ভাবনা আমি দেখি না। অনেকে মনে করেন, দুইটাই তো ভোটের প্রতিযোগী, প্রতিদ্বন্দ্বী। এরকম সমীকরণ থাকলে বাংলাদেশে কখন রাজনীতির অঙ্ক কোথায় কোনটা মেলে, ভবিষ্যতের কথা তো বলা যায় না!

প্রশ্ন : ধর্মভিত্তিক দলগুলো মিলিয়ে যে একটা জোট করার পরিকল্পনা রয়েছে, সেখানে আবার আমরা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কথাও শুনছি, সেই জোটের অগ্রগতি কতদূর?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে সরকার গঠন এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু অভিন্ন ইস্যুতে আমরা এখন একসাথে কাজ করছি। সেগুলো ইন্টারনাল (অভ্যন্তরীণ)। আমরা অফিসিয়ালি ডিক্লেয়ার (ঘোষণা) করিনি। সেখানে কিছু নিজেদের বোঝাপড়ার বিষয় আছে। প্রত্যেক দলের নিজেদের মধ্যে আলোচনার বিষয় থাকে। তবে এতটুকু আমরা আশাবাদী, নানা ইস্যুতে আমাদের এই কয়েক মাসে যে বোঝাপড়া বা সমঝোতা হয়েছে, তাতে ইসলামী দলই শুধু নয় এর বাইরেও আরো কিছু দেশপ্রেমিক বিভিন্ন দলের সঙ্গে একটা নির্বাচনী সমঝোতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হলে একটা জোট না হোক অন্তত নির্বাচনী সমঝোতা বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সিট অ্যারেঞ্জমেন্ট (আসন বিন্যাস) হতে পারে।
প্রশ্ন : সেই জোটে এনসিপি কি থাকছে?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : এটা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে তাদেরও কিছু ভিন্নমত ও দৃষ্টিভঙ্গি আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলি, তারা আমাদের সাথে কথা বলে। নতুন দল তো! ছাত্রদের দল, তাদের অনেক স্বপ্ন। ওই যে বললাম, আলাপ-আলোচনা কোথায় যায়, দেশের রাজনীতির অঙ্ক বলা যায় না। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে।
প্রশ্ন : নির্বাচনে যদি আপনারা জোট করেন, সেখানে মনোনয়নের ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক কিছু থাকছে কি না? সংখ্যালঘুদের মনোনয়ন দেবেন কি না?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : অতীতে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, সেখানে আমরা অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসছি। আগে একসময় এমন ছিল যে সংগঠনের রুকন না হলে আমরা প্রার্থী করব না। এরপর সময়ের চাহিদা, এলাকার জনপ্রিয়তা, প্রভৃতি বিবেচনায় নেয়া শুরু হয়েছে। সিনসিয়ারিটি (আন্তরিকতা), সততা আর মোরাল স্ট্যান্ডার্ড (নৈতিক মানদণ্ড) যদি ভালো থাকে কারও, আমরা তাকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেব। আমরা মনে করছি, রুকন নয় কিন্তু প্রশাসনে বড় আমলা ছিল, বড় আলেম, হয়তো দলের আদর্শ ও সততা নীতি পছন্দ করেন, আমাদের দল করেন না, রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি হয়তো খুব দক্ষ ও যোগ্য হবেন— এরকম খুব ক্যাপাবল (সক্ষম) মানুষ যেখানে আমরা পাচ্ছি, সেখানে সেভাবে মনোনয়নের চিন্তা করছি।
ঠিক তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্যান্য রিলিজিয়নের যারা আছেন, কোনো কোনো এলাকায় যদি দেখি যে এখানে একজন হিন্দু প্রার্থী খুব পপুলার, হিন্দু কমিউনিটির ভোটার বেশি, সেটা আমরা বিবেচনায় নিতে পারি। বিশেষ করে যারা আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কর্মসূচি, গুড গভর্নেন্স (সুশাসন), ট্রান্সপারেন্সি (স্বচ্ছতা) ইত্যাদিসহ যে কথাগুলো আমরা বলি, যে মানবিক বাংলাদেশের কথা বলি, সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলি— এইসব ব্যাপারে তারা একমত, তখন হিন্দু হলেও আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ডে আলোচনা আছে যে, প্রয়োজনে যেকোনো ধর্মাবলম্বীকে আমরা নির্বাচনী মনোনয়ন দিতে পারি। উই আর সার্চিং (আমরা খুঁজছি), আমরা এটা করছি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ডিমান্ড আসছে। নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর এ ব্যাপারে একটা পরিণত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে।

প্রশ্ন : ২০১৪ সাল থেকে ইনক্লুসিভ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা অনুপস্থিত ছিল। যে কারণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগকে অপমানজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। এখন যে প্রশ্নটা আসছে সেটা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলে যারা জোটবদ্ধ তাদের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট রয়েছে। সামনের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত আমরা যে ধরনের পরিবেশ দেখছি, তাতে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। শুনতে পাচ্ছি, জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা কম। তাহলে তাদের বিশাল সংখ্যক ভোটারের মতামতের কী হবে? আসলেই কি আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বা ১৪ দলকে বাদ দিয়ে একটি ইনক্লুসিভ নির্বাচন সম্ভব?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : ইনক্লুসিভ নির্বাচন আওয়ামী লীগের সময় একটাও হয়নি। এখন নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারছে না বলে কেউ কেউ মনে করছেন, তাহলে ইনক্লুসিভ ইলেকশন তো হলো না, জনগণের অংশগ্রহণ হলো না! আসলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যেতে পারছে না সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে। সরকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং নানা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের কারণে তাদের রাজনীতির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দল কিন্তু নিষিদ্ধ হয়নি। ইলেকশন কমিশন ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, এই সরকারি আদেশের কারণে তারা নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচনের প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা প্রতীকও বাদ দেয়া হয়েছে। তাই মানুষ মনে করছে, আওয়ামী লীগের পক্ষে আর এই নির্বাচনে অন্তত আসা সম্ভব নয়।
আমরা মনে করি, জনগণ ভোট দিলে নির্বাচন ইনক্লুসিভ হবে। কোনো দল এলে ইনক্লুসিভ হতে হবে, নট দ্যাট (তা নয়)। পাবলিক যদি ইলেকশনে পার্টিসিপেট করে, ভোট কেন্দ্রে যায়, সেটাই ইনক্লুসিভ ইলেকশন।
আর আওয়ামী লীগের কৃতকর্ম জাতি মেনে নিচ্ছে না। তারা আসতে চাইলেই তো জনগণ মানবে না। তারা যা করেছে, এদেশের জনগণ কখন তাদের আবার রাজনীতিতে অ্যালাও (অনুমতি দেবে) করবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। আপনি দেখুন, তারা (আ. লীগ) এখান থেকে গিয়ে দিল্লিতে বসেও ষড়যন্ত্র করছে। কী করছে তারা? তাদের ব্যাপারটা ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। তাদের অপরাধ আমলে আনা হয়েছে।

প্রশ্ন : আপনারা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। সেখানে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিও আছে। নির্বাচনের আগে যদি সরকার জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করে তাদের তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : হ্যাঁ, যদি নিষিদ্ধ না হয় তাহলে তো আইন অনুযায়ী তারা অংশ নিতে পারবে। কিন্তু জনগণ তাদের কতটা গ্রহণ করবে, সেটা দেখার বিষয়। আমাদের পাঁচ দফার মধ্যে এই দফা আছে। ফ্যাসিস্টদের দোসর ছিল তারা এবং তারা যদি এই ১৬/১৭ বছরে আওয়ামী লীগকে সাহায্য না করত, আওয়ামী লীগ এতদিন টিকতে পারত না। তারাই প্রত্যেকবার ভোটে গিয়ে প্রহসনের ভোটকে বৈধতা দিয়েছে। এর আগেই তারা কিন্তু বিতর্কিত হয়েছিল। এজন্য একই অপরাধে আমরা তাদেরও রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিতের দাবি করছি।
প্রশ্ন : ৮০ বা ৯০ দশকে জামায়াতে ইসলামীর যে রাজনীতি ছিল সেখান থেকে পরিবর্তন নিয়ে আসছেন, বলছেন। তরুণ প্রজন্ম শিবিরকে ভোট দিয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। অনেকে মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনে তারা জামায়াতে ইসলামীকে ভোট নাও দিতে পারে। আপনি কী মনে করেন?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : মানুষের যেকোনো কিছু মনে করার এখতিয়ার আছে। সেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে এটা কেউ কেউ মনে করে, অনেকে বা বেশি লোক মনে করেন না। যারা মনে করেন তাদের সাথে আমরা একমত না। কারণ, আমাদের তো সার্ভে নেই। সানেম ও ব্র্যাক যে জরিপ করেছে, সেখানে তারা স্পষ্ট বলেছে যে ইয়াংদের মধ্যে আমাদের পপুলারিটি (জনপ্রিয়তা) বেড়েছে। তাদের জরিপে আলাদা করে তরুণদের সূচক দেখিয়েছে।
আর চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়ে গেল। সারা দেশের সব জেলার মানুষকে কিন্তু রিপ্রেজেন্ট (প্রতিনিধিত্ব) করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা। এটা কোনো অঞ্চলের না। তার অর্থ, তাদের বাপ-চাচা, দাদা-দাদি বা মা-বোনেরাও তাদের বাড়িতে আছেন। সুতরাং এটাকে গোটা জাতির প্রতিফলন বলতে পারি। এখানে দেশের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। তরুণদের চিন্তা, মেধা ও মননের প্রতিফলন ঘটেছে। তারা কী চায়, তারা যে একটা পরিবর্তন চায়, সেটাই তারা বুঝিয়েছে।
শিবিরের চরিত্র ও আদর্শ, তাদের সততা ও নৈতিকতা— সবকিছু এ জাতি ও ছাত্রসমাজ দেখেছে। কারণ, শিবির ক্যাম্পাসগুলোতে অনুপস্থিত ছিল না। শিবির সক্রিয় ছিল। আর জামায়াতে ইসলামী শুধু একবার একটা সরকারের ক্ষুদ্র অংশে ছিল। ৩০০ এমপির মধ্যে আমরা ২০ জন ছিলাম। আর ৬০ জন মন্ত্রীর মধ্যে দুইজন ছিলাম। ৬০-এর মধ্যে দুই দিয়ে কোনো নীতি আর পলিসিকে প্রভাবিত করা যায় না। ৩০০-এর মধ্যে ২০ দিয়ে কোনো নীতি আর পলিসিকে ইমপ্লিমেন্ট করা যায় না।
তারপরও যখন সরকার বিদায় নিল, মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন, তারা বিগত সব সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সার্চ করেছে, কারা কারা দুর্নীতি করেছে, গ্রেপ্তার করেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি— তিনটা দলই তো দেশ শাসন করেছে। প্রত্যেক দলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। আমাদের দুইজন মন্ত্রী তিনটা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছেন। শিল্প, কৃষি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রচুর চেষ্টা করা হয়েছে, গ্রেপ্তার করে নেয়া হয়েছিল জেলে। কিন্তু ইনভেস্টিগেশনে (তদন্তে) তারা দুর্নীতি দেখাতে পারেনি। আমাদের এমপিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রচুর তদন্ত করা হয়েছে। মাইক্রোস্কোপ দিয়েও দেখা হয়েছে, দুর্নীতির প্রমাণ করতে পারেনি। রাষ্ট্র পরিচালনায় লোভ-লালসা ও সততার ক্ষেত্রে আমরা নজির স্থাপন করেছি।

প্রশ্ন : এবার প্রায় চার কোটি ভোটার বয়সে তরুণ। এই তরুণ প্রজন্ম এবং নারীরা জামায়াতকে কেন ভোট দেবে বলে মনে করেন?
মিয়া গোলাম পরওয়ার : তরুণরাই হবে আমাদের আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনার শক্তি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমাদের হাতে দায়িত্ব এলে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার তরুণ ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে আসবে আর প্রত্যেকের যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র তার চাকরির ব্যবস্থা করবে। যাদের চাকরি দিতে পারবে না তাদের বেকার ভাতা দেবে, এটা আমাদের ম্যানিফেস্টোতে (ইশতেহার) থাকছে।
এডুকেশন সিস্টেমকে মোরালিটি (নৈতিকতা) ও উৎপাদনমুখী এবং কারিগরি শিক্ষাকে এমনভাবে কম্বিনেশন (সংমিশ্রণ) করা হবে যে, লেখাপড়া থেকে বেরিয়ে এসে কারো পক্ষে বেকার থাকা সম্ভব হবে না। তারা ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, বিসিএস কোয়ালিফাই করবে, রাষ্ট্র চালাবে, সেনাবাহিনীতে যাবে, জুডিশিয়ারিতে যাবে। প্রত্যেকটি জায়গায় সে বড় হবে কিন্তু সৎ হবে। নৈতিক হবে, চরিত্রহীন হবে না। বেকার থাকবে না। দেখুন, দারিদ্র্য আর বেকারত্ব কিন্তু মানুষকে নষ্ট করে ফেলে। ড্রাগ অ্যাডিকশন (মাদকাসক্তি), মোরালিটি (নৈতিকতা) ছেড়ে ভায়োলেন্সের (হিংস্রতা) দিকে ইয়াংরা (যুবকরা) যাচ্ছে কেন? তাদের বেকারত্বের কারণে। মায়ের পরনে শাড়ি নেই, ঘরে খাবার নেই, চাল নেই। তখন তার কাছে নীতি-নৈতিকতা কোনো প্রশ্ন না। প্রশ্ন, আমার মাকে খাবার দিতে হবে। আমার বাচ্চার কাপড় কিনতে হবে। এই দরিদ্রতা তাকে নিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসের দিকে।
জামায়াতে ইসলামী এবার ইলেকশন ম্যানিফেস্টোতে (নির্বাচনী ইশতেহার) এটা অ্যাড্রেস (উল্লেখ) করেছে। আমরা তরুণ সমাজকে জাতির সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাদের নৈতিকতা শেখাব এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা চেঞ্জ করব। আর অল্প পুঁজিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করব। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে, শিল্প বিনিয়োগে, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের ক্ষেত্রে (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) আমরা একটা ভালো পজিশনে যেতে পারি। আমরা করাপশন-ফ্রি সোসাইটি (দুর্নীতিমুক্ত সমাজ), করাপশন-ফ্রি ইকোনমি (দুর্নীতিমুক্ত অর্থনীতি) গড়ে তুলব। আমরা সততাকে প্রাধান্য দেব। তারুণ্যের শক্তিকে আমরা আগামীর দেশ গড়ার কাজে লাগাব।
আমাদের এই যে বয়ান, এই যে ন্যারেটিভ, আগামী নির্বাচনে প্রায় চার কোটি নতুন ভোটারের কাছে আমরা অনলাইন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তুলে ধরছি। আমরা মনে করি, ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের প্রতি সমর্থন বাড়ছে।
বাংলাদেশের ৫৪ বছরে কত ডাকসু হয়েছে, একটা উদাহরণ নেই যে ডাকসুর নেতারা ছাত্রদের কল্যাণ চেয়েছে। কিন্তু শিবিরের ছাত্ররা প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকে বহু কল্যাণমূলক কাজ ইতোমধ্যে করে দেখিয়েছে। এটা ইসলাম থেকে তারা শিখেছে। ইসলামের মোরালিটি তাদেরকে এই ওয়েলফেয়ারের (কল্যাণমূলক) কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। যে ইসলাম ওরা মানে, সেই ইসলাম তো জামায়াতও মানে। তাই আমরা ইয়াংদের এ বিষয়ে মোটিভেট করার চেষ্টা করছি।
আমরা যুবকদের নানাভাবে আকৃষ্ট করছি এবং এটা কেবল দেখানোর জন্য বা আর্টিফিশিয়াল কিছু নয়। আমরা সত্যিকার অর্থে তাদের নিয়ে ভাবছি। তাদের নিয়েই বাংলাদেশটাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই।
প্রশ্ন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।
মিয়া গোলাম পরওয়ার : ধন্যবাদ।
No comments yet. Be the first to comment!