বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, সরকারের তিন উপদেষ্টা নির্বাচন ও গণভোট প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করছেন। তাঁর দাবি, এঁদের ‘মিসগাইডিং’ ভূমিকার কারণেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো নিশ্চিত হয়নি। আর এই কারণেই আট দল ঘোষণা দিয়েছে—প্রতিশ্রুত পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

রোববার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পরওয়ার বলেন, ‘সব কথা ফরমালি বলা যায় না। সময় হলে তিন বিতর্কিত উপদেষ্টার নামও বলা হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য–প্রমাণ রয়েছে।’ তিনি বলেন, প্রশাসনের বহু জায়গায় এখনো দলীয় পক্ষপাত রয়ে গেছে। এর সঙ্গে তিন উপদেষ্টার প্রভাব–প্রতিপত্তি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ‘সরকারকে এখনই সজাগ হতে হবে। নইলে নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

আট দলীয় জোটের দাবির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই অবস্থায় নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে—তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। এর দায় সরকারেরই। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে চাই বলেই আমরা মাঠে আছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না এলে আমাদের কর্মসূচি চলবেই।’

তিনি জানান, তাঁদের তিনটি মূল দাবি এখনো অপূর্ণ—
১) লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি,
২) ফ্যাসিবাদের দায়ীদের বিচার হয়নি,
৩) প্রশাসনে দলীয় পক্ষপাত রয়ে গেছে।

এসব ইস্যুতে আট দলীয় জোটের স্টিয়ারিং কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করে ঘোষণা দেবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে গণভোট ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত নেতারা বলেন, জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও মৌলিক সংস্কারের পক্ষে তাঁরা ‘হ্যাঁ’ ভোট চান। কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কার প্রসঙ্গে পরওয়ার বলেন, ‘মূল সংস্কারগুলো আমরা শুরু থেকেই সমর্থন করে আসছি। এগুলো ভোটারদের সামনে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে।’

তিনি সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান—প্রচারপত্র, গণমাধ্যম ও উন্মুক্ত কমিউনিকেশনের মাধ্যমে স্পষ্ট করে জানাতে হবে কেন এসব সংস্কার জরুরি। ‘না হলে জনগণের বড় অংশ বিষয়টি বুঝতে পারবে না।’

আরএস