রাজনীতি

৩ হাজার কোটি টাকা খরচের গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

আপডেট: নভে ১২, ২০২৫ : ০২:২১ পিএম
৩ হাজার কোটি টাকা খরচের গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “জাতীয় ঐক্য আমাদের শক্তি, বিভাজন আমাদের দুর্বলতা।” তিনি আরও বলেন, এ বছর কৃষকরা আলু নিয়ে বিপাকে পড়তে পারেন। একটি রাজনৈতিক দলের আবদার মেটাতে গিয়ে গণভোটের নামে রাষ্ট্রকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে। চাষীদের কাছে এই সময়ে গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল ভেবে ইচ্ছামত কাজ করতে চায়, বা জনগণের দ্বারা বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপকৌশল গ্রহণ করে, তা শেষ পর্যন্ত তাদেরই জন্য বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। তিনি রাজপথের সঙ্গীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা না করার অনুরোধ করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কিছু দল বিভিন্ন শর্ত দিয়ে জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ জনগণের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।

কৃষি খাত নিয়ে তিনি বলেন, আলুর উৎপাদন খরচ এবং কোল্ড স্টোরেজে রাখার খরচ প্রায় ২৫-২৭ টাকা প্রতি কেজি। কিন্তু চাষীরা বাজারে অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করতে পারছেন না। ফলস্বরূপ, আলু চাষীদের লোকসান প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তিনি মনে করেন, এই সময়ে চাষীদের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গণভোটের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি হতাহতের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম জায়গা দখল করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে শতাধিক আলোচনা হলেও তা পর্যাপ্ত গুরুত্ব পায়নি।

সভায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে সংস্কার শুরু করেছিলেন, তা শেষ করতে পারেননি। তারেক রহমানকে তিনি আহ্বান জানান, তার পিতার কাজ শেষ করতে এগিয়ে যেতে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা—ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাত্তার পাটোয়ারী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, এবং লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

 

আরএস

Tags:
বিএনপি তারেক রহমান

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!