প্রযুক্তি

অবৈধ বিজ্ঞাপনেই বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় মেটার!

আপডেট: নভে ১১, ২০২৫ : ০২:৪৯ পিএম
অবৈধ বিজ্ঞাপনেই বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় মেটার!
অবৈধ বিজ্ঞাপনেই বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার আয় মেটার!

বিশ্বের প্রযুক্তি জগতের এক বড় নাম মেটা প্ল্যাটফর্মস, যার আওতায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম হোয়াটসঅ্যাপ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মেটার আয়পরিচয়ের এক বড় অংশ আসছে ভুয়া প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন থেকে।

মেটার অভ্যন্তরীণ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে কোম্পানির মোট বার্ষিক আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ বা ১৬ বিলিয়ন ডলার এসেছে অবৈধ বিজ্ঞাপন থেকে। তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে মেটা জুয়া, ভুয়া বিনিয়োগ প্রকল্প এবং নিষিদ্ধ ওষুধের প্রচার ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এসব বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের প্রতারিত করে, অনুপস্থিত পণ্য বা সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে।

মেটার কাছে যদিও স্বয়ংক্রিয় বিজ্ঞাপন শনাক্ত ব্যবস্থা আছে, তবুও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয় কেবল তখনই, যখন তারা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হয় যে বিজ্ঞাপনটি প্রতারণামূলক। এর আগে পর্যন্ত সন্দেহভাজন বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনমূল্য আদায় হয়, অথচ বিজ্ঞাপন চালু থাকে। অর্থাৎ, অবৈধ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মেটার আয় বাড়ছেই।

মেটার মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন রয়টার্সকে দাবি করেছেন, “প্রতিবেদনটি মেটার নীতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। গত ১৮ মাসে আমরা প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত ব্যবহারকারীর অভিযোগ ৫৮ শতাংশ কমিয়ে ১৩ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভুয়া বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিয়েছি।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা অগ্রাধিকার থাকলে বিজ্ঞাপন যাচাই আরও কঠোর হতো। বর্তমানে ব্যবহারকারীর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও রাজস্বই প্রধান লক্ষ্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ তথ্য, ছবি অভিজ্ঞতা ভাগ করছেন। প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনের বিস্তার কেবল অর্থনৈতিক ঝুঁকি নয়, এটি ব্যবহারকারীর বিশ্বাস নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, মেটা এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে ব্র্যান্ডের বিশ্বাস হারিয়ে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

 

০ মন্তব্য


No comments yet. Be the first to comment!