অনলাইন ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব এখন কেবল বিনোদনের খেলার মাঠ নয়; এটি ক্রিয়েটরদের জন্য একটি বড় ব্যবসার মঞ্চ। এক সময় যেখানে বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ড প্যাকেজ ছিল প্রধান আয়ের উৎস, আজ অনেক ইউটিউবার নতুন পথ বেছে নিচ্ছেন। বিজ্ঞাপনের অস্থিরতা, অ্যালগরিদম পরিবর্তন ও আয়-অনিশ্চয়তার কারণে তারা বিকল্প আয়ের উৎস তৈরি করছেন।
বিভিন্ন ইউটিউবার নিজস্ব পণ্য লাইন, রেস্টুরেন্ট, কফি ব্র্যান্ড বা অফলাইন স্টোর খোলার মতো উদ্যোগ নিচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইউটিউব তারকা মিস্টার বিস্ট শুধু ভিডিওর মধ্যেই নয়, শপিং, স্ন্যাক্স, বার্গার চেইন এবং খেলনার মতো একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর এমা চেম্বারলেইন কেবল ভ্লগারই নয়; ২০১৯ সালে তিনি চালু করেন তার কফি কোম্পানি “চেম্বারলেইন কফি”, যা এখন সুপারমার্কেট ও রিটেল চেইনেও বিক্রি হচ্ছে।
এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নিয়ম এবং অ্যালগরিদমের হঠাৎ পরিবর্তন। বিজ্ঞাপন পাওয়া, দর্শক ধরে রাখা বা অ্যালগরিদমে স্থায়ী থাকা—সবই ক্রিয়েটরদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই তারা এমন ব্যবসা গড়ে তুলছেন, যা প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভরশীল নয়।
বাংলাদেশের তরুণ ইউটিউবারদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। শুধু ভিউ বাড়িয়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা আর নিরাপদ নয়। নিজের ব্র্যান্ড, পণ্যের লাইন এবং অনলাইন-অফলাইন উদ্যোগের দিকে মনোনিবেশ এখন সময়ের দাবি। ইউটিউবাররা এখন কনটেন্ট নির্মাতা থেকে স্বনির্ভর ব্যবসায়ী হয়ে উঠছেন।
অতীতের দিনগুলোতে যেখানে শুধু ভিডিও বানিয়ে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা যেত, আজ সেই মডেল বদলে গেছে। যারা সম্পাদকীয় কনটেন্ট তৈরি করছেন, তারা সেই কনটেন্টের সঙ্গে নিজের ব্র্যান্ড যুক্ত করে স্থায়ী আয়ের পথ তৈরি করছেন। এটি শুধু আয়ের উৎস নয়, দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্বেরও দিকনির্দেশ।
No comments yet. Be the first to comment!