রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনের (১৯) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে তাওসিফের ময়নাতদন্ত করেন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. কফিল উদ্দিন ও প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম চলে। এ সময় বাইরে অপেক্ষা করছিলেন নিহতের বাবা বিচারক আব্দুর রহমান। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মরদেহ দাফনের জন্য জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। সন্ধ্যায় সেখানে দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে ডা. কফিল উদ্দিন বলেন, তাওসিফের ডান উরু, ডান পা ও বাহুতে ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এসব স্থানে রক্তনালী কেটে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, যা মৃত্যুর কারণ। তিনি আরও বলেন, তাওসিফের গলায় কালশিরা দাগ পাওয়া গেছে, যা নরম কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধের কারণে হতে পারে। তবে শ্বাসরোধ মৃত্যুের প্রধান কারণ নয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতের পাশাপাশি শ্বাসরোধের চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।
রাজপাড়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি মামলা করার প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারী লিমন মিয়া পুলিশ নজরদারিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকার ভাড়া বাসায় তাওসিফ খুন হন। হামলায় তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসীও আহত হন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, লুসীর অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত এবং উন্নতির দিকে। হামলাকারী লিমনও ধস্তাধস্তির সময় আহত হন এবং তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!