এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দীর্ঘ দুই দশকের অপেক্ষা ভেঙে অবশেষে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ। পূর্ণ দর্শকে ভরা জাতীয় স্টেডিয়ামে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা খেলল শৃঙ্খলিত ও আগ্রাসী ফুটবল, আর সেই প্রচেষ্টার ফল—ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায়। ম্যাচের ১১ মিনিটেই বাঁ দিক থেকে রাকিব হোসেনের দারুণ পাস ধরে নিখুঁত ফিনিশিং করেন শেখ মোরছালিন। তার এই ঠান্ডা মাথার গোলই শেষ পর্যন্ত নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায়।
ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষে শুরু হয় উত্তেজনা, তবে হাল না ছেড়ে দলকে বিপদমুক্ত রাখেন হামজা চৌধুরী—একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ হেড করে ক্লিয়ার করেন তিনি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ভারত আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু সাদ উদ্দিন, তপু বর্মণ এবং বদলি শাকিল আহাদের দৃঢ় রক্ষণে ভেস্তে যায় একের পর এক ভারতীয় চেষ্টা।
৮৩ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের হাতে লাগা বল থেকে পেনাল্টির দাবি উঠলেও রেফারি তাতে সাড়া দেননি। তবুও বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসী খেলোয়াড়রা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত ১–০ গোলের লিড অক্ষুণ্ণ রাখে। অতিরিক্ত সময়ে কোচের কৌশলগত বদলি—শাহরিয়ান ইমন ও তাজউদ্দিন—মধ্যমাঠ এবং রক্ষণের ভার আরও শক্ত করে।
শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে স্টেডিয়াম। ২২ বছর পর ভারতকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ফুটবল দল প্রমাণ করল—সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনা আর লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলে অসম্ভবও সম্ভব।
No comments yet. Be the first to comment!