ডান দিকে ঠিক সময়মতো ঝাঁপ দিয়েও ক্যাচটি ধরতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। সুযোগটি কিছুটা কঠিন হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ ধরনের ক্যাচ সাধারণত ধরা হয়। কিন্তু মিরাজের হাত ফসকে যায় বলটি, আর তাতেই চোট পান বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। পরে তাকে মাঠ ছাড়তে হয় ফিজিওর সহায়তায়।
সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ঘটে ঘটনাটি। নাহিদ রানার বলে ব্যাকফুটে খেলতে যান পল স্টার্লিং। গালি অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা মিরাজ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে হাত বাড়ালেও বলটি তালুবন্দী করতে পারেননি। হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকায় ফিজিও দ্রুত ছুটে আসেন, এবং পরক্ষণেই মাঠ ছাড়তে হয় মিরাজকে।
এর আগে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে একই দুর্ভাগ্য বরণ করেন তাইজুল ইসলাম। হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে লেগে খেলেন ক্যাড কারমাইকেল, ডিপ মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা তাইজুলের হাতে আসে বলটি, কিন্তু ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ডান হাতে ব্যথা পেয়ে তখনই মাঠ ছাড়েন এই স্পিনার। বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন জাকের আলী অনিক। কিছুক্ষণ পর অবশ্য ফিরে আসেন তাইজুল।
মিরাজ ও তাইজুল ছাড়াও ক্যাচ ছাড়েন সাদমান ইসলাম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দ্বিতীয় স্লিপে বল ধরতে গিয়ে ফসকান তিনি। পল স্টার্লিং তখন ১০ রানে ছিলেন, সেই সময়ই প্রথম জীবন পান। মিরাজের হাত থেকেও আবার জীবন পান একই স্কোরে। কারমাইকেলও ১০ রানে জীবন পেয়েছেন তাইজুলের সৌজন্যে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় তার দল। ইনিংসের চতুর্থ বলেই দারুণ এক ইনসুইংগারে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন হাসান মাহমুদ। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নিলেও তা ব্যর্থ হয়, সঙ্গে দলীয় একটি রিভিউও নষ্ট করেন আইরিশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশের পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিচ্ছে ০ রানে প্রথম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৭৪ রান করেছে সফরকারীরা।
আরএস
No comments yet. Be the first to comment!