আর্জেন্টিনা দলের তরুণ তারকা হুলিয়ান আলভারেজ এখন আলোচনায় নতুন এক কারণে। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের প্রায় সব ফুটবলারের শরীরে ট্যাটুর ছোঁয়া থাকলেও, একমাত্র ব্যতিক্রম তিনি। কারও হাতে, কারও পায়ে বা পিঠে ট্যাটুর নকশা—কিন্তু আলভারেজের শরীরে এসবের কিছুই নেই।
কেন ট্যাটু করেন না—সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই বিশ্বজয়ী ফরোয়ার্ড। আলভারেজ জানিয়েছেন, জীবনে কখনও ট্যাটু করার প্রয়োজন অনুভব করেননি। পাশাপাশি তার বাবারও নির্দেশ ছিল এসব থেকে দূরে থাকার। তাই ছোটবেলা থেকেই ট্যাটুহীন থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
হাসতে হাসতে আলভারেজ বলেন,
“আর্জেন্টিনা দলের কেউ একজন বলছিল, আমিই নাকি একমাত্র ফুটবলার যার শরীরে কোনো ট্যাটু নেই। আমি আলাদা হওয়ার জন্য এমনটা করিনি। ছোটবেলায় বাবা বলতেন—‘ট্যাটু নয়, সিগারেট নয়, মদ নয়।’ বড় হয়ে সবাই নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু আমার ট্যাটুর প্রয়োজন মনে হয়নি।”
ফুটবলে শারীরিক শক্তি এবং ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা—দুটিকেই সমান গুরুত্ব দেন আলভারেজ। মাত্র ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার এই স্ট্রাইকার ছোটবেলা থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন উচ্চতা নিয়ে। তবে তার দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসই তাকে আজ বিশ্বমানের ফরোয়ার্ডে পরিণত করেছে।
এক সাক্ষাৎকারে রিভারপ্লেটের সময়কার স্মৃতি তুলে ধরে আলভারেজ বলেন,
“প্রথম ট্রায়ালের সময় তারা আমার বয়স আর পজিশন জিজ্ঞেস করেছিল। বললাম—২০০০ সাল, নাম্বার ৯। তখন তারা হেসেছিল। কিন্তু আমি জানতাম, আমার শক্তি কোথায়। উচ্চতা কোনো বাধা নয়, আমি নম্বর ৯ খেলতে পারি—সব দিকেই মানিয়ে নিতে পারি।”
এমন দৃষ্টিভঙ্গি আর শৃঙ্খলাবোধই হয়তো আলভারেজকে আলাদা করে তুলেছে দলের অন্যদের থেকে। মাঠে গতি, পাসিং সেন্স আর মানসিক দৃঢ়তা—সব মিলিয়ে তিনি আজ আর্জেন্টিনার সাফল্যের অন্যতম স্তম্ভ।
No comments yet. Be the first to comment!